মাদরাসার চার দেয়ালে পর্দা নেই কেন?
–
…সাজিদুর রহমান সাজিদ
…সাজিদুর রহমান সাজিদ
মাদরাসা বলতেই আমরা বুঝি ইসলামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এখানে ধর্মীয় শিক্ষা দেয়া হয়। নামায-রোযা, হজ্ব-যাকাত, পাক-নাপাক, হালাল-হারাম ও জায়েয-নাজায়েয শিক্ষা দেয়া হয়। অন্যান্য জাগতিক শিক্ষা থাক, ইসলামি শিক্ষাটাই এখানে মুখ্য। ছাত্রদের ইসলামি মন-মানসিকতায় গড়ে তোলা হয়।
কিন্তু মাদরাসায় যদি সহশিক্ষা চালু থাকে- এটা কি আর মাদরাসা থাকল? যাওয়া-আসার রাস্তায় ছাত্রীদের বোরকা আছে, নেকাব আছে। রাস্তায় তারা পর্দা করে ঠিকই; কিন্তু মাদরাসার চার দেয়ালের ভেতরে পর্দা নেই। ছাত্রী-শিক্ষকের মধ্যে পর্দা নেই। ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে পর্দা নেই। এই শিক্ষক এবং ছাত্ররা কোনো মাহরাম নয় ছাত্রীদের। কাজেই তাদের মধ্যে পর্দা করা ফরয। নামায-রোযা যেভাবে ফরয। এ পর্দা লঙ্ঘন করা কবীরা গোনাহ। যারা হরহামেশা এ পর্দা লঙ্ঘন করে, তারা ফাসেক ফাজের। এরা প্রত্যেহ লাগাতার ৫/৬ ঘণ্টা কবীরা গোনায় লিপ্ত থাকে। মাদরাসা তো নেকী করার জন্য- গোনাহ করার জন্য নয়। আশ্চর্য!!
মাদরাসার ভেতরে পর্দা কেন নেই? ছাত্রীদের মুখমণ্ডল খোলা থাকে। ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে দেখা-সাক্ষাৎ হয়। কথা-বার্তা হয়। হাসি-খুশি, রংতামাসা হয়। তারপর আস্তে আস্তে প্রেম হয়। পরিণামে অঘটন ঘটে। পর্দা থাকলে এমনটা হত না। ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে যদি পর্দা থাকত, ছাত্রী-শিক্ষকের মধ্যে যদি পর্দা থাকত- এমন অঘটন ঘটত না। কিন্তু ভেতরে পর্দা নেই কেন? কেউ কি নিষেধ করেছে? অভিভাবকদের পক্ষ থেকে পর্দা না করতে কি চাপ দেয়া হয়েছে? কোনো মুসলমান তো বেপর্দা চলাফেরা করবার জন্য চাপ দিতে পারে না। কক্ষনো না। তাহলে? নাকি নারীর মুখমণ্ডলকে পর্দার অঙ্গ গণ্য করা হয় না?
.
কোনো কোনো মূর্খ বলে থাকে নারীর মুখমণ্ডলকে ঢাকতে হয় না। মুখ পর্দার মধ্যে শামিল নয়। এটা ওই জাহেলের মূর্খতা। সে সতর আর পর্দার মধ্যে পার্থক্য বুঝতে সক্ষম হয়নি।
.
মুখমণ্ডল সমস্ত সৌন্দর্যের কেন্দ্রবিন্দু। কন্যা দেখতে মুখমণ্ডল দেখেই পছন্দ বা নাপছন্দ করে। মুখমণ্ডল অবশ্যই পর্দার অঙ্গ। যেসব পুরুষের সাথে ওই মেয়ের বিয়ে বৈধ, অবশ্যই তাদের থেকে মুখমণ্ডলকে পর্দা করে রাখতে হবে, ঢেকে রাখতে হবে। এটা ওয়াজিব। আর যেসব পুরুষের সাথে ওই মেয়ের বিয়ে হারাম, যেমন- পিতা, আপন ভাই, আপন মামা ইত্যাদি, তাদের থেকে পর্দা করা যেহতু ওয়াজিব নয়; তাই তাদের সামনে মুখ খোলা রাখবে। যারা মাহরাম, যাদের সাথে বিয়ে অবৈধ, তাদের থেকে মুখে পর্দা করতে হয় না। কিন্তু মেয়ের শিক্ষক বা সহপাঠী ছাত্র, ওরা তো মেয়ের মাহরাম নয়, ওদের সাথে মেয়ের বিয়ে তো বৈধ- কাজেই ওদের থেকে মুখমণ্ডলকে ঢেকে রাখতে হবে, পর্দা করতে হবে। এটা ওয়াজিব।
.
হ্যাঁ, কব্জি পর্যন্ত হাত, টাখনু পর্যন্ত পা এবং মুখ নারীর সতর নয়। নিজের বাবা, ভাই, মামা তথা মাহরামদের সামনে ঢেকে রাখতে হবে না। তবে এগুলো অবশ্যই পর্দার ভেতরে শামিল। পরপুরুষ থেকে এগুলোকে অবশ্যই পর্দার হেফাযতে রাখতে হবে। এটা ওয়াজিব।
.
মাদরাসার ভেতরে পর্দা লঙ্ঘনজনিত কেলেঙ্কারী যদি বছর বছর শুনতে হয়, তাহলে এটাকে মহিলামাদরাসা বানিয়ে দিলে কি হয় না? ছেলেরা বালেগ হয়ে গেলে দূর দূরান্তে অন্যত্র গিয়ে লেখাপড়া করবে। এখানে শুধু মেয়েরা পড়বে। খালাস। কোনো সমস্যা হবে না। গোনাহও হবে না।
.
সহশিক্ষা তো নাজায়েয, হারাম। এ হারামে লিপ্ত হওয়া কেন? এটা না মাদরাসা? পাপে লিপ্ত থেকে ইসলামি শিক্ষা দেয়ার জন্য তো ইসলাম বলেনি। পর্দা তো কুরআনপ্রদত্ত, আল্লাহ নির্দেশিত ফরয বিধান। যে মাদরাসা পর্দার এ ফরয বিধানকে লঙ্ঘন করে, ছাত্র-শিক্ষককে প্রত্যেহ দীর্ঘসময় হারামে পাপে লিপ্ত রাখে- সেটা কিসের মাদরাসা? সেটা কিসের ধর্মীয় বিদ্যালয়?
.
মুসলিম! তোমাকে ঠাণ্ডা মাথায় ভাবতে হবে। ভালো মন্দের তফাৎ বুঝতে হবে। বলতে হবে। নইলে ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সাধারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো পার্থক্য থাকবে না। সব একাকার হয়ে যাবে। সমাজে দ্বীন ধর্ম বলতে কিচ্ছু থাকবে না। যারা সচেতন, সমাজের নেতৃস্থানীয়- তাদেরকে অবশ্যই আল্লাহর আদালতে জবাব দিতে হবে।
.
সুতরাং এখনই এলোমেলো সবকিছু ঠিকটাক করে গুছিয়ে নিতে হবে। অন্তত মাদরাসার ভেতরে আল্লাহর বিধান যাতে পালিত হয়, লঙ্ঘন করা না হয়- সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। ওমা আলাইনা ইল্লাল বালাগ।।
কিন্তু মাদরাসায় যদি সহশিক্ষা চালু থাকে- এটা কি আর মাদরাসা থাকল? যাওয়া-আসার রাস্তায় ছাত্রীদের বোরকা আছে, নেকাব আছে। রাস্তায় তারা পর্দা করে ঠিকই; কিন্তু মাদরাসার চার দেয়ালের ভেতরে পর্দা নেই। ছাত্রী-শিক্ষকের মধ্যে পর্দা নেই। ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে পর্দা নেই। এই শিক্ষক এবং ছাত্ররা কোনো মাহরাম নয় ছাত্রীদের। কাজেই তাদের মধ্যে পর্দা করা ফরয। নামায-রোযা যেভাবে ফরয। এ পর্দা লঙ্ঘন করা কবীরা গোনাহ। যারা হরহামেশা এ পর্দা লঙ্ঘন করে, তারা ফাসেক ফাজের। এরা প্রত্যেহ লাগাতার ৫/৬ ঘণ্টা কবীরা গোনায় লিপ্ত থাকে। মাদরাসা তো নেকী করার জন্য- গোনাহ করার জন্য নয়। আশ্চর্য!!
মাদরাসার ভেতরে পর্দা কেন নেই? ছাত্রীদের মুখমণ্ডল খোলা থাকে। ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে দেখা-সাক্ষাৎ হয়। কথা-বার্তা হয়। হাসি-খুশি, রংতামাসা হয়। তারপর আস্তে আস্তে প্রেম হয়। পরিণামে অঘটন ঘটে। পর্দা থাকলে এমনটা হত না। ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে যদি পর্দা থাকত, ছাত্রী-শিক্ষকের মধ্যে যদি পর্দা থাকত- এমন অঘটন ঘটত না। কিন্তু ভেতরে পর্দা নেই কেন? কেউ কি নিষেধ করেছে? অভিভাবকদের পক্ষ থেকে পর্দা না করতে কি চাপ দেয়া হয়েছে? কোনো মুসলমান তো বেপর্দা চলাফেরা করবার জন্য চাপ দিতে পারে না। কক্ষনো না। তাহলে? নাকি নারীর মুখমণ্ডলকে পর্দার অঙ্গ গণ্য করা হয় না?
.
কোনো কোনো মূর্খ বলে থাকে নারীর মুখমণ্ডলকে ঢাকতে হয় না। মুখ পর্দার মধ্যে শামিল নয়। এটা ওই জাহেলের মূর্খতা। সে সতর আর পর্দার মধ্যে পার্থক্য বুঝতে সক্ষম হয়নি।
.
মুখমণ্ডল সমস্ত সৌন্দর্যের কেন্দ্রবিন্দু। কন্যা দেখতে মুখমণ্ডল দেখেই পছন্দ বা নাপছন্দ করে। মুখমণ্ডল অবশ্যই পর্দার অঙ্গ। যেসব পুরুষের সাথে ওই মেয়ের বিয়ে বৈধ, অবশ্যই তাদের থেকে মুখমণ্ডলকে পর্দা করে রাখতে হবে, ঢেকে রাখতে হবে। এটা ওয়াজিব। আর যেসব পুরুষের সাথে ওই মেয়ের বিয়ে হারাম, যেমন- পিতা, আপন ভাই, আপন মামা ইত্যাদি, তাদের থেকে পর্দা করা যেহতু ওয়াজিব নয়; তাই তাদের সামনে মুখ খোলা রাখবে। যারা মাহরাম, যাদের সাথে বিয়ে অবৈধ, তাদের থেকে মুখে পর্দা করতে হয় না। কিন্তু মেয়ের শিক্ষক বা সহপাঠী ছাত্র, ওরা তো মেয়ের মাহরাম নয়, ওদের সাথে মেয়ের বিয়ে তো বৈধ- কাজেই ওদের থেকে মুখমণ্ডলকে ঢেকে রাখতে হবে, পর্দা করতে হবে। এটা ওয়াজিব।
.
হ্যাঁ, কব্জি পর্যন্ত হাত, টাখনু পর্যন্ত পা এবং মুখ নারীর সতর নয়। নিজের বাবা, ভাই, মামা তথা মাহরামদের সামনে ঢেকে রাখতে হবে না। তবে এগুলো অবশ্যই পর্দার ভেতরে শামিল। পরপুরুষ থেকে এগুলোকে অবশ্যই পর্দার হেফাযতে রাখতে হবে। এটা ওয়াজিব।
.
মাদরাসার ভেতরে পর্দা লঙ্ঘনজনিত কেলেঙ্কারী যদি বছর বছর শুনতে হয়, তাহলে এটাকে মহিলামাদরাসা বানিয়ে দিলে কি হয় না? ছেলেরা বালেগ হয়ে গেলে দূর দূরান্তে অন্যত্র গিয়ে লেখাপড়া করবে। এখানে শুধু মেয়েরা পড়বে। খালাস। কোনো সমস্যা হবে না। গোনাহও হবে না।
.
সহশিক্ষা তো নাজায়েয, হারাম। এ হারামে লিপ্ত হওয়া কেন? এটা না মাদরাসা? পাপে লিপ্ত থেকে ইসলামি শিক্ষা দেয়ার জন্য তো ইসলাম বলেনি। পর্দা তো কুরআনপ্রদত্ত, আল্লাহ নির্দেশিত ফরয বিধান। যে মাদরাসা পর্দার এ ফরয বিধানকে লঙ্ঘন করে, ছাত্র-শিক্ষককে প্রত্যেহ দীর্ঘসময় হারামে পাপে লিপ্ত রাখে- সেটা কিসের মাদরাসা? সেটা কিসের ধর্মীয় বিদ্যালয়?
.
মুসলিম! তোমাকে ঠাণ্ডা মাথায় ভাবতে হবে। ভালো মন্দের তফাৎ বুঝতে হবে। বলতে হবে। নইলে ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সাধারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো পার্থক্য থাকবে না। সব একাকার হয়ে যাবে। সমাজে দ্বীন ধর্ম বলতে কিচ্ছু থাকবে না। যারা সচেতন, সমাজের নেতৃস্থানীয়- তাদেরকে অবশ্যই আল্লাহর আদালতে জবাব দিতে হবে।
.
সুতরাং এখনই এলোমেলো সবকিছু ঠিকটাক করে গুছিয়ে নিতে হবে। অন্তত মাদরাসার ভেতরে আল্লাহর বিধান যাতে পালিত হয়, লঙ্ঘন করা না হয়- সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। ওমা আলাইনা ইল্লাল বালাগ।।