জামালগঞ্জ উপজেলায় জমি-জমা সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে প্রাথমিক বিদ্যালেেয়র শিক্ষক শংকর সমাজপতির নেতৃত্বে গ্রাম্য বিচার শালিসের নামে ২টি পরিবারকে সমাজ থেকে উচ্ছেদ করায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার’র বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। লিখিত অভিযোগে জানা যায়, ফেঁনারবাঁক ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের খুজারগাঁও গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা মৃত নন্দলাল তালুকদারের ছেলে বীরেন্দ্র তালুকদার গ্রাম সংলগ্ন শিবগঞ্জ বাজারে একটি দোকানের ভিট ক্রয় করিলে ঐ ভিটের মালিক বিক্রয়কৃত ভিট বুঝিয়ে দিতে আসলে একই গ্রামের চরিত্র তালুকদারের সাথে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শংকর সমাজপতি’র যোগসাজসে ক্রয়কৃত ভিট দখলে বাঁধা নিষেধসহ নানা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে গ্রামে শালিশের নামে বিচার বসিয়ে বীরেন্দ্র তালুকদারের অনুপস্থিতিতে এক তরফা রায় ঘোষনা করে জরিমানা ৯হাজার টাকা এবং ৯টা জুতার বাড়ি উক্ত রায় না মানায় শচীন্দ্র তালুকদার,পিযুষ তালুকদার,অনিক তালুকদার,নিপেশ তালুকদার সহ আরও অনেকেই গ্রামে রায় মেনে নেওয়ার জন্য নির্যাতন শুরু করে। উপায় অন্তর না পেয়ে বীরেন্দ্র তালুকদার গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে যান এবং গ্রামে বিদ্যালয় থাকা সত্বেও বীরেন্দ্র তালুকদারের ছেলে মেয়ে ও তার ভাই’র ছেলে মেয়ে বাধ্য হয়ে অন্য বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করছে। বীরেন্দ্র তালুকদারের বৃদ্ধ মা বাড়িতে গৃহপালিত গরু-বাছুর নিয়ে আতংকের মাঝে দিনাতিপাত করছে। এ অবস্থা চলতে থাকায় গ্রামের গন্যমান্য ব্যাক্তি বর্গকে নিয়ে বিচার শালিস করার চেষ্টা করে অবশেষে ব্যার্থ হয়ে জামালগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে প্রতিকার না পেয়ে ১৩ই আগষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে নির্বাহী মহোদয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানায় প্রেরন করেন। শংকর সমাজপতির নেতৃত্বে তার নামাংকিত লাঠিয়াল বাহিনী ক্ষিপ্ত হইয়া বীরেন্দ্র তালুকদারকে গ্রাম ছাড়া করে। এব্যাপার বীরেন্দ্র তালুকদার বলেন,আমি দিন মজুর,কাজকর্ম ও রাস্তা চলতে পথরোধ করে,বাজারে ভাড়াটে নৌকায় না নেওয়ার জন্য বলে রাখছে,আমার ছেলে মেয়েদের বিদ্যালয়ে যাওয়া প্রায় বন্ধ।মাষ্টার বাবুরে আমি কতবার কইলাম আমার অপরাধ কিতা ,আমারে ছাড়া আপনারা বিচার করলা,আমি বিচারের কথা নিজেই জানিনা,তাইন খালি খইন শালিশের রায় মানতে হবে।আমি বললাম আমি দিন মজুর মানুষ টাকা কই পামু জুতার বাড়ি না হয় লইলাম,তখন শংকর মাষ্টার বলে টাকা না হইলে হইতনা। এ ব্যাপারে জামালগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসেম বলেন,নির্বাহী মহোদয়ের অফিস থেকে একটা অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যাবস্থা নেব।